সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার শর্ত ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের

1 min read

শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

৬ ডিসেম্বর, বুধবার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণপত্রের সাধারণ শর্তে বলেছে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে তাহলে তারা পণ্য নেবে না। এমনকি যদি সেই পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

তবে কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও কোন তৈরি পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেয়া হয়েছে, তা জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান আরও বলেন, নতুন শর্ত দেয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়লো। কারণ, এর ফলে অনেক ব্যাংক মূল ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে দিতে নাও পারে। কেননা নতুন এই শর্তের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির পর অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়। আবার ক্রেতা পণ্য না নিলে স্টক হয়ে যেতে পারে। তবে অনেক ব্যাংক আবার ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্বাভাবিকভাবে খুলবে। এটিকে বড় করে দেখবে না। কারণ, তাদের এই খাতের ওপর বিশ্বাস রয়েছে।

এমন ঘটনায় ব্যবসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, তবে এতে করে অবশ্যই উদ্যোক্তারা টেনশনে পড়বেন। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান হয়ত অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। এরপর গত ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করে বাণিজ্য সচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *