সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

চাপের মুখে যুদ্ধবিরতি চায় ইসরাইল, শর্ত দিলো হামাস

1 min read

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহু সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে ফের আলোচনায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিশরের সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস ইসরাইলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো-তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো-ইসরাইলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরালই হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরাইল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজায় ভুল করে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে ইসরাইল।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের সবশেষ এই হামলার পরের ঘটনা সম্পর্কিত অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা বেলচা এবং খালি হাতেই জীবিত মানুষের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আর এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *