সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার শুরু

1 min read

U.S. Marines stand guard during the change of command ceremony at Task Force Southwest military field in Shorab military camp of Helmand province, Afghanistan, Monday, Jan. 15, 2018. (AP Photo/Massoud Hossaini)

আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট। খবর বিবিসি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো।

২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনাবাহিনীর। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।

গত বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তালিবানদের এক চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মে মাসের এক তারিখের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।

চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সেনাদের ওপরে হামলা বন্ধ রাখতে হবে তালিবান বাহিনীকে।

তবে বাইডেন গত মাসে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত আফগানিস্তানে সেনা উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন।

সেনা প্রত্যাহার যুক্তিসংগত উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, পশ্চিমের দেশগুলোতে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের করার জন্য জিহাদি গোষ্ঠীগুলো আফগানিস্তানকে যাতে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে মার্কিন বাহিনী তা নিশ্চিত করেছে।

চলতি বছর নাইন ইলেভেন হামলার ২০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সেটিকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা মাথায় রেখে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার তারিখ বর্ধিত করা হয়।

তবে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময়ে কোন ধরনের আক্রমণের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন জেনারেল স্কট মিলার।

তিনি বলেছেন, “ভুলে যাবেন না, যে কোন ধরনের আক্রমণের জবাব দেওয়ার, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে আক্রমণে তাদের সহায়তায় সামরিক সক্ষমতা জোটের রয়েছে।”

চুক্তি সত্ত্বেও তারিখ পিছিয়ে দেওয়া সম্পর্কে তালিবানদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “চুক্তির লঙ্ঘন দখলদার বাহিনীর (পশ্চিমা সেনা) ওপর তালিবান যোদ্ধাদের যেকোনো ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেবার নীতিগত সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”

এ দিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমা বড় ধরনের হামলা এড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই হামলার জন্য ইসলামপন্থী সশস্ত্র দল আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।

ওই সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে।

নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ন্যাটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। কিন্তু তাতে তালিবান শক্তি অদৃশ্য হয়ে যায়নি বা তাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়নি।

এ দিকে আফগানিস্তানের গাজনি প্রদেশে শনিবারও রাতভর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার পুল-এ-আলম শহরে এক গাড়ি বোমা হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে এবং ১১০ জন আহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই স্কুল শিক্ষার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *