সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল এবি পার্টি

1 min read

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এবি পার্টি বলেছে, গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অস্থিরতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কোনোটাই কাম্য নয়। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে না পারলে সংস্কারমূলক কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবে না বলে মনে করে দলটি। 

বৃহস্পতিবার বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন এবি পার্টির নেতারা। 

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাসপূর্তির পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য যে ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সংবাদ সম্মেলন থেকে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়। কমিশনগুলো যেন দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে এবং কোনো দীর্ঘসূত্রিতায় জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে পুলিশী নিস্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও প্রমোশন, পদায়ন এবং পোস্টিংসহ নানা কারণে জনপ্রশাসনের অস্থিরতা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। 

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অনেক ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে এই যে অন্তর্বর্তী সরকার, আমরা তার সাফল্য চাই। কিন্তু যেটা দৃশ্যমান হচ্ছে, যে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন লাগার কথা, তা পাঁচ দিনেও হচ্ছে না। উপরোন্তু প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। আমরা বার বার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও এখনও পুলিশকে সক্রিয় করার কোনো পদক্ষেপ দেখছিনা। ইতোমধ্যেই জনপ্রশাসনের অস্থিরতার বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেখানে অস্থিরতার কোনো সুযোগ নাই। আমরা সরকারকে বার বার বলছি, আপনাদের কার্যক্রম নিয়ে মানুষ গত সরকারের সঙ্গে তুলনা করবে, সেখানে আপনাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। 

মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বার বার ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কথা বলছেন। আমরা সরকারের ভূমিকায় সত্যিকার অর্থেই বিপ্লবের চেতনা দেখতে চাই, কথার কথা নয়। 

তিনি ৬টি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেরাই একটা করে কমিশন, এই জায়গাগুলোতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাদেরকে সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান আকারে নিয়োগ দিলেই তারা যথেষ্ট সংস্কার করতে পারতেন। নতুন করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। 

এবি পার্টির সদস্যসচিব বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা না থাকায় মানুষ কোনো সেবা পাচ্ছে না। সেখানে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা জনগণকে যথাযথ সেবা দিতে পারছে না। এটা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। 

তিনি সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক ভূমিকার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। 

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আমরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। অন্তত সংস্কারের একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বার বার বলছি, এখনি পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে এবং প্রশাসনের সব অস্থিরতা দূর করতে হবে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *