সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ‘মৌখিক অনুমতি’ পাওয়া গেছে

1 min read

রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘মৌখিক অনুমতি’ পাওয়া গেছে।

ইতিমধ্যে তাকে বিদেশে নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার এক স্বজন।

আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার একটি ফ্লাইটে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, “গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সরকার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছে। রাতেই আবেদন আইন সচিবের কাছে পাঠানো হয়।”

গত বুধবার খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো হয়।

এ দিকে সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার পোস্ট কভিড নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ‘মানবিক’ কারণে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।

এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করেন।

গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পরদিনই এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনো তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।

এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *