সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

ব্যস্ততা বেড়েছে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে

1 min read

ঈদুর আজহার পর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে। রাজধানীসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন আড়ত ও চামড়ার মোকাম থেকে কাঁচা চামড়া আসা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

চামড়া সংগ্রহ, গুণগত মান যাচাই-বাছাই ও সংরক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত এখন এখানকার শ্রমিকেরা।

ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই শিল্পনগরীতে চামড়া ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকেরা।

দেড় হাজারের বেশি ট্রাকে এখন পর্যন্ত চার লক্ষাধিক পশুর চামড়া গ্রহণ করেছেন শিল্প মালিকেরা।

ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫৫টি শিল্প-কারখানার মধ্যে ১৩৫টি কারখানা চালু রয়েছে সাভারের বিশেষায়িত চামড়াশিল্প নগরীতে।

বিভিন্ন শিল্পকারখানা ঘুরে দেখা গেছে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কাঁচা চামড়া। উচ্ছিষ্ট অংশ ও চর্বি কেটে চামড়ায় লবণ মেখে সংরক্ষণে নিয়োজিত রয়েছেন শ্রমিকেরা ‌‌‌।

এ ছাড়া চামড়া থেকে পশম ছাড়িয়ে ওয়েট ব্লু করার কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের।

দীর্ঘ ৩০ বছর পর সরকার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট এক কোটি বর্গফুট ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় বাড়তি চাপ লক্ষ করা গেছে কারখানাগুলোতে।

আজমেরী ট্যানরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহিদুল ইসলাম জানান, দেশের দ্বিতীয় রপ্তানি আয়ের খাত চামড়া শিল্প। জাতীয় স্বার্থে সরকার চামড়া পরিবহণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং চামড়া কারখানা চলমান কঠোর লকডাউনের আওতামুক্ত রাখায় এই শিল্পাঞ্চলের উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত উল্লাহ জানান, দেশে ৮০ ভাগ চামড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে কোরবানির ঈদে। প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি গবাদিপশুর চামড়া কেনা হয়। এবারের কোরবানির ঈদেও ৮০ লাখ গবাদিপশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে, ঈদের একদিন পর থেকেই শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ এবারের কোরবানির ঈদে চামড়ার বাজারে প্রভাব ফেলেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর চামড়ার দাম কিছুটা বাড়তি ধার্য করা হলেও লকডাউন শুরু হওয়ায় চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহণ করে ট্যানারি পর্যন্ত পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা থাকায় চামড়া ব্যবসায় ধস নামার আশঙ্কা করছেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *