সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

দুই ডোজের স্পুটনিক-ভি’র কার্যকারিতা ৯১ শতাংশ

1 min read

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি। আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ অনুমোদনের কথা জানায়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দুই ডোজের স্পুটনিক-ভি প্রায় ৯১ শতাংশ কার্যকর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহার করা হচ্ছিলো। আজ আমরা রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি-এর ইমার্জেন্সি অথরাইজেশন দিয়েছি। এই ভ্যাকসিনটি রাশিয়ায় অনুমোদিত হয়েছে এবং পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।’

ভ্যাকসিন অনুমোদনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনের সব ডেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটি সেসব ডেটা ইভালুয়েশন করেছে। আজ ১২ সদস্যের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটির সভাপতিত্বে আরেকটি মিটিং হয়, সেখানে এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এর স্ট্যান্ডার্ড ভালো। এটা প্রায় ৯১ শতাংশ কার্যকর এবং এর সেফটি মার্জিনও ভালো। এই সবকিছু বিবেচনা করে স্পুটনিক-ভি-এর ইমার্জেন্সি অথরাইজেশন অর্থাৎ জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলো।‘

গত ১২ এপ্রিল ভারতেও এটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় বলেও জানান মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

অনুমোদনের পরের প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটা এখন আমদানি করা হবে। আর সেটা হবে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে। সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করে এর কার্যক্রম চলবে। কত সংখ্যক ডোজ, এর দাম কত হবে সবকিছু নির্ধারণ করবে সরকারের এ সংক্রান্ত কমিটি।’

এটা দুই ডোজের ভ্যাকসিন জানিয়ে তিনি আরও জানান, ‘প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পর ‍দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।’

রাশিয়ার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালস- ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার এবং হেলথ কেয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। আমাদের দেশে এটা তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথা বলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। আমাদের দেশেও এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে।’

আমাদের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল বর্তমানে ১৪টি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সেসব ভ্যাকসিন বিদেশে রফতানিও হয়। এ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যেকোনও ফরম্যাটেই কিন্তু ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারে। আমাদের ক্যাপাবিলিটি অনেক বেশি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *