দ্রুত বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
1 min readদ্রুত বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। কেউ যেন বিচার থেকে বঞ্চিত না হন। বিচারকার্যের দায়িত্বে থাকা সকলে মিলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন বিচারপ্রার্থী মানুষ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার পান। দ্রুত বিচার প্রদান করা আমাদেরও নৈতিক দায়িত্ব।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যের পর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে প্রধান ফটকে থাকা লাল ফিতা কেটে ন্যায়কুঞ্জ ভবনে প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর উদ্বোধনী ফলকের পাশে সজ্জিত ফুল বাগানে একটি ছাতিম বৃক্ষের চারা রোপন করেন তিনি।
বক্তব্যে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থী মানুষের বসার স্থান ছিল না জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার পূর্বসূরী মাননীয় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তার স্বপ্নই ছিল যে প্রত্যেকটি জেলা আদালতে যেন বিচারপ্রার্থী মানুষের বসার একটি জায়গা থাকে। শুধু বিচারপ্রার্থীই নয়, যারা জামিনে আছেন, নারী, বয়স্ক স্বাক্ষী যারা আদালতে আসবেন তারা এখন থেকে বসার একটি জায়গা পাবেন। সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি জেলা আদালতে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। সারাদেশে ৪২টি জেলায় বিচারকদের জন্য ডরমেটরি প্রস্তুত হচ্ছে, সেগুলো উদ্বোধন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক সংকট এবং বিচারকের বসার স্থান সংকুলান হয় না-এ অভিযোগটি শুধু বান্দরবান পার্বত্য জেলাতেই নয়, অন্যান্য জেলাতেও আছে। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি ভবিষ্যতে বিচারকদের বসার স্থান সংকুলান আর থাকবে না। আর বিচারকের পদ সৃষ্টির ব্যাপারে এরই মধ্যে সরকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করি আমরা অচিরেই সফল হতে পারব এবং বিচারকের সংকট পুরোপুরি কেটে যাবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আইন ও বিচার বিভাগ) উদ্যোগে ‘দেশের প্রতিটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ন্যায়কুঞ্জে থাকা সুবিধাদির মধ্যে রয়েছে-৭০ আসন বিশিষ্ট ওয়েটিং স্পেস, ব্রেস্ট ফিডিং রুম, টয়লেট ও দোকান ঘর।
প্রধান বিচারপতি বক্তব্য দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মশিউর রহমান, বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেবুন নাহার আয়েশা, চিফ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সৈকত শাহীন, জুডিসিয়াল, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনজীবীবৃন্দ প্রমুখ। এরপর বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি।