অনলাইনে রেলের টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে
1 min readনতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার জন্য কয়েক দিন অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত শনিবার ব্যবস্থাটি আবার চালু করা হয়।
কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়েবসাইট অকার্যকর হয়ে পড়ে। অ্যাপে টিকিট কাটার ব্যবস্থাটিও ছিল বন্ধ। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ে টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ। অনেককে নিরূপায় হয়ে রেলের কাউন্টারে ভিড় জমাতে হয়।
রেলের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। আশা করা হয়েছিল, টিকিট কাটার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু হয়েছে ঠিকই কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি। টিকিট বিক্রির লেজেগোবড়ে ব্যবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। টিকিট বিক্রির একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাই তারা দাঁড় করাতে পারছে না। তাহলে যাত্রীদের অন্য সেবা তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাটি নতুন করে চালু করবার পরপরই তা অকর্যাকর হয়ে গেল কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। টিকিট বিক্রির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ধারণা করছে, ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এই ধারণা সত্য হলে ধরে নেয়া যায় যে হ্যাকারদের প্রতিরোধে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ রয়েছে। এর দায় কার সেটা খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
অ্যাপভিত্তিক টিকিট বিক্রি কেন বন্ধ রাখা হল সেটার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা রেল কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। বর্তমান যুগে অ্যাপ ব্যবহার করে অনেক সরকারি সেবা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। নাগরিকরাও এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট বিক্রির সুযোগ থাকলে অনেক যাত্রীকেই হয়তো সশরীরে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে হতো না। তাদের ভোগান্তি কমত। আমরা আশা করব, গ্রাহক ভোগান্তি দূর করতে রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।