ধর্মঘটে অচল মিয়ানমার, বিক্ষোভে হাজারো মানুষ
1 min readমিয়ানমারে সেনা শাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।অন্যদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘সরকার তার ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে’
দেশে সেনা শাসনের প্রতিবাদে আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে মিয়ানমারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম হুমকি সত্ত্বেও রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগুনের হ্লেদান জংশনে আন্দোলনস্থলে দাঁড়িয়ে সান সান মাও (৪৬) বলেছে, “সবাই বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে। সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
রয়টার্স এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় এমআরটিভি’তে সোমবারের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কতা জানানো হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়, “বিক্ষোভকারীরা সাধারণ লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। বিশেষ করে তরুণদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।”
২২ বছর বয়সী টেট টেট হ্লায়িং বলেছেন, তিনি ভয়ে আছেন। তাই আজকের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন। তবে তিনি সাহস হারাননি।
তিনি বলেন, “আমরা এই জান্তাদের চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই ঠিক করতে চাই। আমার মা আমাকে এখানে আসা আটকাতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন, সাবধানে থেকো।”
এর আগে, রবিবার মান্দালে শহরে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় আন্দোলনে ভাটা পড়েনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটিতে স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চেইন শপগুলো সোমবার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফুড পান্ডাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। তবে কিছুকিছু ট্যাক্সিসেবা চালু রয়েছে।
ইয়াংগুনের বাসিন্দারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা সোমবার বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বর্হিবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দূতাবাসগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কয়েকটি দেশ মন্তব্য করায় এর নিন্দা জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এক বার্তায় বলেছে, সরকার তার ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।