সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

রাশিয়া ও চীনের ভ্যাকসিন সরাসরি আনবে সরকার

1 min read

করোনার টিকা রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি এবং চীনের তৈরি সিনোফার্ম জিটুজি পদ্ধতিকে (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) আনা হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এখানে তৃতীয় কোনও পক্ষ থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) তিনি এ তথ্য জানান।

দেশে জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং চীনের সিনোফার্ম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। টিকা সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক। গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চীনের সিনোফার্ম অনুমোদন দেওয়া হয়।

মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকা সংক্রান্ত কমিটি সুপারিশ করার পর সিনোফার্ম জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলো। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদনের সুযোগ থাকবে। এটি সরকারি পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে এখানে এটি উৎপাদন হবে। আমরা অনুমোদন দিয়েছি, এটার প্রকিউরমেন্ট হবে জিটুজি মাধ্যমে। অর্থাৎ আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জিটুজি পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়ন হবে।’

তিনি আরও  জানান, ভ্যাকসিন প্রয়োগের আগে আমরা এক হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে দেখবো সাত দিনের জন্য। এছাড়া আমরা এই ভ্যাকসিন অবজারভেশন করবো। এটার সেফটি এবং কার্যকারিতা কেমন তা পর্যবেক্ষণ করবো। বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষমতা আছে।’

তিনি বলেন, ‘চীনের সিনোফার্ম আমাদের ৫ লাখ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা পেয়ে যাবো। তারপর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জিটুজি’র মাধ্যমে এটির কাজ সম্পন্ন হবে।’

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, এই চুক্তির মধ্যে তৃতীয় কোনও পক্ষ নেই। কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেই। এটা সরকারের সঙ্গে চীনের সরাসরি চুক্তি। কাঁচামালও সরকারি প্রতিষ্ঠান আনবে। পুরাটাই সরকার টু সরকারের মাধ্যমে করা হবে।’

এর আগে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি অনুমোদনের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘২৪ এপ্রিল এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) টেকনিক্যাল কমিটির সভায় তা অনুমোদন পেলো। আমরা এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলাম। এখন এটা বাংলাদেশে আমদানি ও ব্যবহারে কোনও বাধা রইলো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এখন আমদানি করা হবে। আর সেটা হবে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে। সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করে এর কার্যক্রম চলবে। কত সংখ্যক ডোজ, এর দাম কত হবে—সবকিছু নির্ধারণ করবে সরকারের এ সংক্রান্ত কমিটি।’

রাশিয়ার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি—ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল, পপুলার এবং হেলথ কেয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। আমাদের দেশে এটা তৈরি করা যায় কিনা, সে বিষয়ে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথা বলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। আমাদের দেশেও এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *