শ্রমিক অধিকার হরণ হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
1 min read
বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় নতুন নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বজুড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রমিক অধিকারের পক্ষের কর্মী, শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে বা যারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করবে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যত ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, তা প্রয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ ঘোষণা দেন।
বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো একটি মেমোরেন্ডামে সই করেছেন। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস। এ মেমোরেন্ডাম সইয়ের পরে সানফ্রান্সিসকোর একটি হোটেলে শ্রমিক নেতাদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের বক্তব্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, শ্রমিকরা আমাদের অবকাঠামো তৈরি, পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি করে আমাদের প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন শিল্প গড়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পুরো বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় এসব শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিশ্বের অনেক স্থানে শ্রমিকদের এ সুযোগ দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, কিছু স্থানে শ্রমিকদের মানসম্পন্ন জীবনযাপনকেও অস্বীকার করা হয়, তাদের হয়রানি করা হয় এবং ক্ষতি করা হয়। এমনকি তাদের অধিকার চাইতে গেলে হত্যার শিকার হতে হয়।
‘কম্বোডিয়ার সেবাকর্মী, গুয়েতেমালার কৃষি শ্রমিক, এস্তোনিয়ার শ্রম আইনজীবীসহ অসংখ্য সাহসী মানুষ সংগঠিত হওয়ার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। যেন শ্রমিকরা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে পারে। যাতে শ্রমিকরা জোরপূর্বক শ্রম, মানব পাচার বা বৈষম্যের শিকার না হয়, সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা মজুরি বৃদ্ধি, লিঙ্গ বৈষম্য, মজুরি বৈষম্যসহ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। আর এগুলোই শ্রম ইউনিয়নের ইতিবাচক দিক। আমরা এসব সাহসীকে জানাতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের পাশে রয়েছে।’