সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের

1 min read

২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজ হারানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সিরিজ এবং ম্যাচ জয়ের হিসাবটাই যেন ভুলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর ৯ বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ৫টি ওয়ানডে সিরিজের ১৭ ম্যাচেই টানা হার দেখেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে পেয়ে ৯ বছরের আক্ষেপ মেটাল জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে দিয়েছে সিকান্দার রাজার দল।

রবিবার (আগস্ট) হারারেতে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছিন। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেল জিম্বাবুয়ে। এই সিরিজ জয়ে নায়ক দলের অন্যতম সেরা তারকা রাজা। এই ক্রিকেটারের ব্যাট হাতে রাজত্বে বাংলাদেশকে সহজেই ধরাশায়ী করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ১৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারের লজ্জা দিয়েছিল জিম্বাবুইয়ানরা।

সেই ম্যাচে তরুণ ইনোসেন্ট কাইয়াকে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়েছিলেন। কাইয়া ১১৮ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রাজা নিজের সঙ্গী হিসেবে পেলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক রেজিস চাকাভাকে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাকাভাকে নিয়ে ২০১ রানের বিশাল জুটি গড়ে টাইগারদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন রাজা।

চাকাভা শতক পূর্ণ করে ১০২ রানে আউট হয়ে ফিরলেও রাজা এই ম্যাচেও অপরাজিত ১১৭ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। শেষদিকে রাজাকে ব্যাট হাতে সঙ্গ দিয়েছেন তরুণ অভিষিক্ত টনি মুনিয়োঙ্গা। এই তরুণ ক্রিকেটার ১৬ বলে ৩০ রান করে ম্যাচ তাড়াতাড়ি জিততে সাহায্য করেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে হারারেতে গতকাল জিততেই হতো বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ রানের লড়াকু সংগ্রহ তুলতে পারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে যেখানে ৩০৩ রান তুলেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

সেই হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচে সংগ্রহ কমই হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। তবে টাইগার বোলারদের দাপটে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা দখল করে নেয় বাংলাদেশ। ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছিল মাত্র ৪৯ রান।

হাসান মাহমুদ ১৬ মাস পরে ওয়ানডে দলে ফিরেই প্রথম তিন ওভারেই ২ উইকেট তুলে নেয় জিম্বাবুয়ের। প্রথম ওভারে কাইতানোকে শূন্য রানে ফেরানোর পর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে ৭ রানে ফেরান হাসান মাহমুদ। ১৬ মাস পর ওয়ানডে দলে ফিরেই প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১ মেডেনে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন হাসান।

এই পেসারের পর টাইগারদের হয়ে উইকেট সংগ্রহ করেছেন স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে মিরাজ ওয়েসলি মাধবেরেকে ২ রানে এলবির ফাঁদে ফেলে ফেরান মিরাজ। এদিকে তাইজুল ফেরান অভিষিক্ত মারুমানিকে। জিম্বাবুইয়ান এই ওপেনার করেছেন ২৫ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার দুই ওপেনার দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। প্রথম ১০ ওভারে ৬২ রান তোলে দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে অধিনায়ক তামিম ৪৪ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন। যদিও পরের ওভারে তানাকা চিভাঙ্গার বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানের মাথায় আউট হয়ে ফেরেন।

তামিম ফেরার পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন বিজয়ও। নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভে বোলারের হাত ছুঁয়ে স্টাম্প ভেঙে গেলে ৩ চারে ২০ রানে আউট হন বিজয়। দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫০ রান। মুশফিকুর রহিম ২৫ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।

১৫০ রানের আগে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর বড় স্কোর এনে দিতে সহায়তা করেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ জুটি। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন। আফিফ ৪১ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। ২২৯ রানে আফিফকে হারানোর পর একাই লড়ে যান মাহমুদউল্লাহ।

এরপর টাইগারদের পক্ষে মিরাজ ১৫ রান নেওয়া ছাড়া টেল এন্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সাহায্য করতে পারেনি। রিয়াদ শেষদিকে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৮৪ বলে ৮০ রান করে দলকে ২৯০ রানের সংগ্রহ এনে দেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজা ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও ওয়েসলি মাধবেরে ২ উইকেট শিকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *