সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

ফরিদগঞ্জে মামলার বাদীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

1 min read

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মামলার বাদীকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত নির্যাতন করেছে এলাকার একদল প্রভাবশালী। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় এ ভয়ানক বর্বরোচিত হামলায় শেখ ফরিদ মৃধা (৪০), ফয়েজ আহমেদ (৪৬) গুরুতর আহত হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ারপর ১৫ মে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা হলে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. দেলোয়ার হোসেন (৬৫), মো. লোকমান হোসেন (৬৮), মাহাবুব আব্দুল সোহেল (৩২) সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালতে পাঠানোর পরই ওই ৩ জন জামিনে চলে আসে।

এই ঘটনায় প্রধান আসামি মো.মোজাম্মেল হোসেন বাবুল (৬৫) ও ৩নং আসামি মো. হোসেন (৩৮) পলাতক থাকায় তাদের পুলিশ আটক করতে পারেনি। ১৩ মে উক্ত ঘটনা সংগঠিত হওয়রপর থেকে এই দুই আসামি পলাতক রয়েছে বলে তখন নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ।

প্রকাশ্যে অসহায় পরিবারের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়ে এক সপ্তাহ পালিয়ে থেকে ২২ মে রবিবার চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামি মোজাম্মেল হোসেন বাবুল ও মো. হোসেন বিচারক কার্তিক চন্দ্র ঘোষের নিকট জামিন আবেদন করলে বিচারক বাদী পক্ষের উপস্থাপিত তথ্যের আলোকে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠিয়ে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন প্রধানিয়া।

এদিকে, অপর ৩ আসামি ১৬ মে জামিনে এসেই বাদীপক্ষকে উক্ত মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, শেখ ফরিদ মৃধা ও মোজাম্মেল হোসেন বাবুল গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্বের একটি হামলার ঘটনায় বাদী শেখ ফরিদ গংদের উপর ১৩ মে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে অভিযুক্তরা। জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটির তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শেখ ফরিদ মৃধা গংরা মাদক সেবন করে আসছে ও প্রতিপক্ষের পারিবারিক কবরস্থানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়েছে (প্রস্রাব) করেছে বলে তথ্য ছড়িয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, শেখ ফরিদ মৃধা গংদের কখোনো মাদক সেবন দূরের কথা ধুমপান করতেও দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে মামলার বাদী মো. ফয়েজ আহমেদ মৃধা জানান, ঘটনারদিন আমরা দুই ভাই প্রয়োজনীয় কাজে রুস্তুমপুর বাজারে গেলে আমাদের প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোজাম্মেল হোসেন বাবুল, হোসেন ফকির, সোহেল হাজী, মিজান হাজী গংসহ আরও কয়েকজন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের বেধড়ক মেরেছে। এ সময় খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাঁচাতে এলে তাদের ওপরও হামলা করে তারা। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ পায়ের বাঁধ খুলে চিকিৎসার জন্য পাঠায় এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমাদের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে। অথচ আমাদের ওপর হামলাকারীরা প্রচার করেছে আমরা নাকি তাদের কবরস্থানে প্রস্রাব করেছি। যাহা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভানোয়াট। আমরা আদালতের কাছে বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *