কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের (দুলাল-নন্দী কমিটি) সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্কমরত সাংবাদিকদের কটুক্তি করে অযাচিত বক্তব্য প্রদান করছেন বলে জানা গছে। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু হলের এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন পর্বে তিনি নানান কটূক্তিমূলক এবং অযাচিত বক্তব্য প্রদান করনে। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) একটি বিবৃতি প্রকাশ করছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতেনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, র্দীঘ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে উদ্দশ্যেপ্রণোদিত হয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে অসত্য বক্তব্য প্রদান করছেনে। বিবৃতিতে ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে পরবর্তী সময়ে এমন মন্তব্য না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু হলের অনুষ্ঠানে ড. নন্দী সাংবাদিকদের উদ্দশ্যে করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন। এরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকবছর পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিদায়ের সময় এসব সাংবাদিকরা তাঁর পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে। এমন বক্তব্যরে বিষয়ে ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর কাছে বক্তব্যরে সত্যতা জানতে চেয়ে দুপুরে প্রক্টর অফিসে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এসময় দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন,”আমি বুঝে শুনইে বলছে। তোমাদের যা ইচ্ছা লিখতে পারো।”
উল্লেখ্য, আলোচিত শিক্ষক ড. দুলাল নন্দীর বিরুদ্ধে র্পূবে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ১৭ র্মাচ জাতীয় শিশু দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসানকে লাঞ্ছিত করনে। যা নয়িে লাঞ্ছিত শিক্ষকের লিখিত অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া বন্যা দুর্গত মানুষের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাকা আত্মসাত করার চেষ্টার অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, ড. দুলাল নন্দী বঙ্গবন্ধু পরিষদের এককালীন ফির নামে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেছেন।