সংবাদ প্রতিদিন বিডি

সংবাদ প্রতিদিন বিডি

গণতন্ত্র হত্যার জন্য সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক দায়ী: জাফরুল্লাহ

1 min read

দেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য সাবেক বিচারপতির এ বি এম খায়রুল হককে দায়ী করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণতন্ত্র হত্যার জন্য তার প্রকাশ্যে বিচার হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একজন মানুষ খুন করলে তার ফাঁসি হয়, যাবজ্জীবন হয়। কেউ গণতন্ত্র হত্যা করলে, গণতন্ত্রকে কবরস্থ করলে তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? বিচারপতি খায়রুল হক দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। প্রকাশ্যে তার বিচার হওয়া উচিত। সে জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাকে আজীবন জেলখানায় দেখতে চাই। এখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমান প্রধান বিচারপতিরও বিচার হওয়া দরকার। ফাঁসি-টাসি চাই না। তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সবাই থুঁ থুঁ দিক।

পেশাজীবীদের উদ্দেশ্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পেশাজীবীদের আওয়াজ উঠাতে হবে। এই অনাচার-অত্যাচার আমরা আর সহ্য করব না। জীবনের শেষ ক্ষণে আছি, তা হলেও আমরা ভীত নয়। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।

তিনি বলেন, দুইদিন আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কের জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী ছিলো। আমরা এতটা নিমকহারাম যে একটা বড় দল, এমনকি মুক্তিযোদ্ধারও তার জন্মবার্ষিকী পালন করেনি। এখনো কয়েকশো সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছেন তারাও করেন নাই। আরেকজন সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ অসুস্থ হয়েছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেনো সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, মোদি বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ জন ছাত্রের জামিনের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। তিনি বলে পাঠালেন বিচারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এখনো পর্যন্ত ছাত্রদের জামিন দেয় নাই। পরীমনির ব্যাপারে কী হলো? তার বিচার দ্রুত করতে বলা হলো। এই ধরনের বিচারপতিরা জঘন্য ব্যক্তি। প্রত্যেকটা বিচারপতির সম্পদের হিসাব চাই আমরা। আমাদের পরিবর্তন দরকার। বিচার বিভাগ ঠিক না হলে সুশাসন আসবে না।

এ সময় বাংলা ভাষায় রায় লেখায় দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *